Header Ads

Header ADS

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আবারো বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের: হিজাব নিয়ে কটুক্তি

 


নিজস্ব প্রতিবেদক: হিজাব নিয়ে কটুক্তি করায় কুমিল্লার লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে আবারো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।

পরে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই সিদ্দিকী কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মাকছুদুর রহমান জিহাদী বলেন, তদন্ত চলাকালীন অধ্যক্ষ কলেজে আসতে পারবেন না এবং ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আন্দোলন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধান না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

উল্লেখ্য, হিজাব নিয়ে কটুক্তি করায় নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিতা সফিনাজের অপসারণ দাবিতে (২৫ ফেব্রুয়ারি) কলেজ গেইট ও ক্যাম্পাস এলাকায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এতে কলেজের শতশত শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হিজাব নিয়ে কটুক্তি, বোরখা ধরে টানাটানি, হিজাব পরা ছাত্রীদের অপমান করাসহ নানা অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমা আক্তার আখি বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ মিনার দেখাতে ও বইমেলা উপভোগ করতে ছোট বোনকে নিয়ে কলেজে আসি। সেখান থেকে নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমে যাওয়ার সময় অধ্যক্ষ মিতা সফিনাজ আমাকে বোরখা পরিহিত দেখে রাগান্বিত স্বরে বলেন যে, তুমি এখানে কেন এসেছো? 

তখন আমার ও আমার ছোট বোনের পোষাক দেখে তিনি বিভিন্ন বাজে মন্তব্য শুরু করেন। ছোট বোনের গায়ে ছিল একটি ছোট কালো বোরকা এবং একটি ছোট কালো হিজাব আর আমার পরনে ছিল বোরকা, হাত পায়ের মোজা ও হিজাব। তিনি আমাদেরকে দেখিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলে ওঠেন, "ছোট বাচ্চাদের কি এগুলা কোন ধরনের পোশাক পরায় এই ধরনের পোশাক পরিয়ে বাচ্চাদের ভুলভাল জিনিস শেখায়"।

ওই সময় তাঁর সাথে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে একজন প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেছিলেন বাচ্চাদেরকে হয়তো পরিবার থেকে ছোটবেলা থেকেই তারা পর্দা-নৈতিকতা শেখায়, কিন্তু প্রতিউত্তরে ম্যাডাম বলে ওঠেন এগুলা কোন ধরনের নৈতিকতা? এসব বোরখা হিজাবের ভিতরে দুষ্টামি ভন্ডামি আরো বেশি লুকিয়ে থাকে।

পরে আরেকজন শিক্ষক ওনাকে আরো বোঝানোর চেষ্টা করেন মুসলিম সমাজে পর্দা মেইনটেন করে চলতে হয়। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই তা শুনতে চাননি এবং অনেক ধরনের বাজে মন্তব্য করেছিলেন। পূর্বেও একবার তিনি আমাকে আমার পরিহিত হিজাব নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন। তখন আমি কিছুই বলিনি ভেবেছিলাম সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। এইসব কথায় আমি খুবই কষ্ট পাই এবং মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরি। ওই অবস্থায় আমার মানসিক অবস্থা দেখার মত ছিল না এবং লজ্জাবোধ করি। একটা সাড়ে পাঁচ বছরের বাচ্চার ধর্মীয় পোষাক নিয়েও এমন কটুক্তি করেছিলেন যা আমাকে খুবই কষ্ট দেয় এবং আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।"

কলেজের অপর শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান জিহাদী বলেন, অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ হিজাব পরায় শুধু আঞ্জুমা আক্তার আঁখিকেই অপমান করেনি। ইতিপূর্বেও হিজাব পরায় তিনি অনেক ছাত্রীকে অপমান-অপদস্থ করেছেন। হিজাব নিয়ে টানাটানি করেছেন। বিশ্রী শব্দ দিয়ে গালাগাল করেছেন। কিন্তু কেউ শাড়ি কিংবা শর্ট পোশাক পরে আসলেও কাউকে কিছুই বলেন না। অধ্যক্ষ মিতা সফিনাজ মুসলিম হয়েও হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। তিনি শিক্ষকতার নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছেন।'

এ সময় তারা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি জানান। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরাও এ দাবির সাথে একমত পোষণ করে শ্লোগান দিতে থাকে।

কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান তানিম বলেন, আমরা সকল নৈতিক আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে আছি। অধ্যক্ষ অসুস্থ বিধায় ঢাকায় আছেন। উনি আসলে আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ফায়সালা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে কল দিলে অধ্যক্ষ মিতা সফিনাজ বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা নেই। এর বেশি কিছু বলব না। আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি। কলেজে এসে বিস্তারিত বলব।'

কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শামসুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ম্যাডামকে জানাবো। আমিতো তাঁর বিচার করতে পারি না। তবে আমি দেখেছি বোরখার সামনের কালো অংশ তিনি পরতে বারন করতেন। সাদা পরতে বলতেন। কালো অংশ আমাদের ড্রেসের সাথে মানায় না।

এ বিষয়ে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন, 'অধ্যক্ষ যদি এমন আচরণ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক শমেস কর চৌধুরী বলেন, 'এমন আচরণ করে থাকলে অধ্যক্ষ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস: মনোহরগঞ্জে ২ শিক্ষক জেলে, প্রধান শিক্ষক পলাতক


 নিজস্ব সংবাদদাতা: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসএসসি'র প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে । এদের ২ জনকে আটক করে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণিত পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলার পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

আটককৃতরা হলেন, শাহরাস্তী উপজেলার নাতারা গ্রামের তালুকদার বাড়ীর আবু ইউছুফের ছেলে আল আমিন (৩৩), একই উপজেলার বেরনাইয়া গ্রামের আদিপুর বাড়ীর সাহেব উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন (২৬)। 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি'র গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্র মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হল সুপার লালচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম পাটোয়ারী বাইরে থাকা অপর দুই শিক্ষকের কাছে পরীক্ষার হল থেকে পাঠিয়েছেন তারা যেন প্রশ্নপত্র সমাধান করে উত্তরপত্র পুনরায় পাঠায়। (যা পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন ১৯৮০ এর ৯ খ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ)

এ ঘটনায় রোববার রাতে পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজালা রানী চাকমা জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এসএসসি'র গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলছিলো পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, পাশের মার্কেটে একটি চক্র গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও মফিজ উদ্দিন নামে দুই শিক্ষককে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্যদের সঙ্গে গণিতের প্রশ্নপত্র মোবাইল ফোন ও ডিভাইস পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের মাধ্যমে গণিতের উত্তরপত্রের সমাধানগুলো শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করছিলেন তারা।

মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার জানান, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের তিন সদস্যের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, অপর আসামি মনোহরগঞ্জ উপজেলার লালচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গণিত পরীক্ষার হল সুপার সামছুল আলম পাটোয়ারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

 


দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে এবার গভীর সমুদ্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এ জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি ২৭) সন্ধ্যায় সংসদ ভবন কার্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে তার বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম এ সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে দেশে বিনিয়োগযোগ্য পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে হানি সালেমকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে তার সরকার গভীর সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য আমাদের বিনিয়োগ দরকার।

এ ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য উৎপাদন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। আইটিএফসি প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্যও বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন শেখ হাসিনা।

এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের সিইও হানি সালেমও। তিনি বলেছেন, অবকাঠামো, আইসিটি, ঋণ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আইটিএফসি সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।

বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে হানি সালেম বলেন, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি চমৎকার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।

সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।

সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

 


এবার রমজান মাসে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতারি পার্টি না করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

উল্লেখ্য, রমজান মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর রোজা শুরু হতে পারে ১২ বা ১৩ মার্চ।

ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, দিতে হবে ৫০ কোটি


 ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১-১৩ বর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। ওই দিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজাও স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। ওইদিন সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চারজনকেই জামিন দেন আদালত।

তার আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপষ্ট। তারও আগে গত বছরের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান। নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট আইএফইডি কর্মকর্তারা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের সঙ্গে কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।

বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় রিহ্যাব

 


অর্থপাচার কমাতে ও সরকারের রাজস্ব বাড়াতে আগামী দশ বছরের জন্য বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

সভায় রিহ্যাবের প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অর্থপাচার কমাতে ও সরকারের রাজস্ব বাড়াতে কোনো ধরনের প্রশ্ন না করা সংক্রান্ত আগের যে সুবিধাটি ছিল, তা বহাল করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আবাসন ক্রেতাদের ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন না করারও আহ্বান থাকবে।

বিদেশে অনেকেই সেকেন্ড হোম করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রচুর অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। ওইসব দেশের ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের অর্থের উৎসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে ভবিষ্যতে ওই সব বিনিয়োগকারী করের আওতায় চলে আসবে, যা সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করবে। এসময় তিনি ফ্ল্যাট ও প্লট রেজিস্ট্রেশনে বিদ্যমান ফি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাত শতাংশ নামানোসহ ৮টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

আর সরবরাহ বিক্রয়ের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ রেডিমেইড মিক্স কনক্রিট অ্যাসোসিয়েশন, সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকারে কাস্টমস ডিউটি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশে সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসেসিয়েশন।

অন্যদিকে পরিবেশদূষণ রোধ ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে পরিবেশ সারচার্জ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিস অব বাংলাদেশ।

দেশকে উন্নত করতে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

 দেশকে উন্নত করতে হলে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে ট্যাক্সের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। আরও বেশী করদাতাকে আয়কর এবং ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য আয়কর বিভাগের উপর আস্থা রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।


শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে এক প্রাক-বাজেট আলাচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০২০ সালে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতা ছিল ২১ লাখ। গত ৪ বছরে এনবিআর’র নিরলস প্রচেষ্টায় এখন রিটার্ন করদাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ। আগামী জুনে এই সংখ্যা ৪০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এনবিআর। এই সংখ্যা আগামীতে আরও বাড়াতে হবে। এনবিআর সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এনবিআর’র প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ অব্যাহত আছে।
রিটার্ন দাখিলকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেশী ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করতে করদাতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বরিশাল জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক ও একেএম বদিউল আলম এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।

এছাড়া বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও বরিশালের কর কমিশনার মো. সারওয়ার হোসেন চৌধুরীসহ বরিশাল ও খুলনার কর কর্মকর্তা এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬টি জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আজ সাজেক যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি


 অবকাশ যাপনের জন্য তিন দিনের সফরে রাঙ্গামাটির সাজেক যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাজেকে অবকাশ যাপনের জন্য আসবেন। তার আগমন উপলক্ষে বাঘাইছড়ির পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে তার সাজেক ভ্রমণে রিসোর্ট-কটেজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

জেলা প্রশাসক বরাবর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাঙামাটি জেলার সাজেক সফর করবেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের গমনাগমনের প্রশাসনিক, আবাসন ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনস্থ অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিটিআরসির চেয়ারম্যান কমিশনের গৃহীত কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী টেকসই, প্রযুক্তি নির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসিকে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিটিআরসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ মে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার হিসেবে এবং ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

টিআইএনধারীর সংখ্যা এক কোটি ছাড়ালো

 


দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হিসেবে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ছাড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) করদাতার সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ জনে উন্নীত হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, এনবিআর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন খাতকে করের আওতায় নিয়ে আসে। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিআইন বাধ্যতামূলক করা হয়। যার কারণে চলতি অর্থবছরে টিআইনধারীর সংখ্যার সঙ্গে রিটার্নধারীও বেড়েছে। গত সপ্তাহে দেশে টিআইনধারীর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৭০ হাজার। যা গতকাল ১ কোটি অতিক্রম করেছে।

তবে টিআইএনধারীর তুলনায় রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা খুবই কম। বিদায়ী অর্থবছরে রিটার্ন জমা পড়েছে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার, যা মোট টিআইনধারীর ৩৭ শতাংশ। তবে কোম্পানির রিটার্ন জমা শেষে রিটার্নধারীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়াবে বলে জানিয়েছেন আয়কর কর্মকর্তারা।

টিআইএন এবং রিটার্ন জমার প্রার্থক্যের বিষয়ে এক সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, অনেকে ছোটখাটো প্রয়োজনে ওয়ান টাইম টিআইএন করেছেন। এরা হিসাবের মধ্যে থাকলেও রিটার্ন জমা দেননি। তবে এ সংখ্যা কত সে সম্পর্কে এনবিআরের এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই।

পটুয়াখালীতে এক কচু ২৫০০ টাকায় বিক্রি

 


পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালীর দশমিনায় ১১ফুট লম্বা ও ৮০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির একটি বেল কচু আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন এক প্রান্তিক কৃষক।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের কৃষক মো: বারেক হোসেন নিজের বাড়িতে জম্মানো কচুটি বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের পূঁজাখোলা এলাকায় নিয়ে এলে সোমবার সন্ধ্যার পরে ১০ জন ক্রেতা মিলে দুই হাজার ৫০০ টাকায় কিনে ভাগ করে নেয়।

জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউসিয়নের গছানী গ্রামের কৃষক মো: বারেক হোসেন ৩ বছর পুর্বে শখের বসে ৫০টি বেল কচুর চারা সংগ্রহ করে বসত বাড়ির পতিত জমিতে রোপন করেন। পরিবারের খাওয়ার পাশাপাশি স্বজনদের বিনামূল্যে দিয়েও এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকার বেল কচু বিক্রি করেন। তবে বসতঘরের পাশে থাকার কারণে এটি বিক্রি করা হয়নি।

এ ব্যাপারে বেল কচু বিক্রেতা মো: বারেক হোসেন বলেন, ১১ ফুট লম্বা ও ৮০ কেজি ওজনের কচু আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। ঘরের পাশে থাকায় আর তেমন পরিচর্যাও করিনি। তবে কয়েক দিন পরপর শুধু ছাই দিয়ে ছিলাম।

বেল কচু ক্রেতা উপজেলা সদরের চরহোসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো: জামাল হোসেন বলেন, এত বড় কচু আমি আর দেখিনি। এ জাতের কচু অনেক সুস্বাদু। কচুটি একা কেনা সম্ভব না হওয়ায় ভাগে কিনেছি।

দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জাফর আহমেদ বলেন, এ জাতের কচুতে পোকা মাকরের আক্রমন ও রোগ বালাই কম হয়। বসতবাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে, রাস্তার পাশে, পুকুর বা খাল পাড়ে এটি চাষ করা যায়। তাই এটি চাষে ফসলি জমির অপচয় হয়না। খেতে সুস্বাদু ও বাজার দরও ভালো থাকায় কৃষি বিভাগ থেকে এ জাতের কচু চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

পণ্যে কর ছাড় দিয়ে এনবিআরের প্রজ্ঞাপন


 আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক-কর ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা পৃথক চারটি আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়।

১৭ দিন বিকল্প পথে চলতে হবে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীদের

 


কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পোস্তগোলা সেতু সংস্কার করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ফলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী যানবাহনগুলোকে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলেছে সওজ। এই ১৭ দিন ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে সেতু দিয়ে। তবে বাস ও হালকা যানবাহনের জন্য পাঁচ দিন এই সেতু বন্ধ থাকবে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়, ঢাকা জোন থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে) মহাসড়কের ৩য় কিলোমিটারে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এর (পোস্তগোলা সেতু) দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিং কাজ করা হবে। (পুরনো স্থাপনাকে শক্তিশালী করতে নতুন কিছু সংযোগ করাকে রেট্রোফিটিং বলা হয়ে থাকে।)

এজন্য ভারি যানবাহনসমূহ (ট্রাক-পিকআপভ্যান, কাভার্ডভ্যান, কনটেইনারবাহী লরি) ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত এবং হালকা যানবাহনসমূহ (বাস-মাইক্রোবাস-সিএনজি-অটোরিকশা) ২২, ২৩ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ ও ৬ মার্চ- এই পাঁচ দিন বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

ভারি যানবাহনসমূহের জন্য বিকল্প সড়কসমূহের মধ্যে রয়েছে
১. গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কগামী যানবাহন বেড়িবাঁধ রোড দিয়ে বাবুবাজার সেতু হয়ে তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন হয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করবে।

২. যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কগামী যানবাহন ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ড ও বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন হয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করবে।

৩. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক থেকে গাবতলীগামী যানবাহন তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন থেকে বাবুবাজার সেতু-বেড়িবাঁধ হয়ে গাবতলী প্রবেশ করবে।

৪. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক থেকে যাত্রাবাড়ীগামী যানবাহন তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন-বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে ধোলাইপাড় হয়ে যাত্রাবাড়ী প্রবেশ করবে।

এছাড়া হালকা যানবাহনসমূহ সওজ ও এলজিইডির বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে পারবে
১. পদ্মা সেতু থেকে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামমুখী যানবাহন শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ-মুক্তারপুর সেতু-৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

২. সিলেট, চট্টগ্রাম থেকে পদ্মা সেতুমুখী যানবাহন মদনপুর থেকে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মুক্তারপুর সেতু-শ্রীনগর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

৩. পদ্মা সেতু থেকে ঢাকাগামী যানবাহন শ্রীনগর দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরাণীগঞ্জ, তুরাগ-রোহিতপুর, আব্দুল্লাহপুর-রাজাবাড়ী বাজার-কোনো খোলা মোড়-বছিলা সেতু-মোহাম্মদপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

পচনশীল দ্রব্য বহনকারী যান ব্যতীত অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনসমূহকে পদ্মা সেতুর বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সওজ।

২০২০ সালের ২৯ জুন বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে উদ্ধার করতে আসে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এসময় পোস্তগোলা সেতু পার হওয়ার সময় সেতুতে ধাক্কা দেয় ও আটকে যায় জাহাজটি। এতে সেতুর নিচের পাটাতন ও বিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় সংস্কার করে সেতুতে যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।

ফের হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া


 পাঁচ মাসের বেশি সময় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এদিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

এ তথ্য নিশ্চিত করে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান বলেন, ‘বিকেল ৪টার পরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।’

গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গত ২৫ অক্টোবর মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল ঢাকায় আসে। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন।

কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়।

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

 


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৫ জানুয়ারি) সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারি করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রের কথাও তিনি বলেছেন। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে। নিউজ আসে। এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এটি যাতে কোথাও না হয়।

পুঁজিবাজার বড় অর্থায়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র: বিএসইসি চেয়ারম্যান


 বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার বড় ধরণের অর্থায়নের সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র। সুনীল অর্থনীতির সফল প্রজেক্টের জন্য ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হলে বিএসইসি পরিবেশবান্ধব প্রজেক্টে অর্থায়নের সুযোগকে কাজে লাগাতে সব ধরণের সহযোগিতা করবে। সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে জিডিপিতে অবদান রাখতে সকলকে ব্লু বন্ড, গ্রীণ বন্ড নিয়ে ভাবার অনুরোধ জানান তিনি।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘ব্লু ইকোনমি: ফান্ডিং প্রসপেকটস অব ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে সকাল ১১টায় সেমিনারটি শুরু হয়।

বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

সুনীল অর্থনীতিতে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ তুলে ধরে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিদেশী কোম্পানিগুলো দেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অংশগ্রহণ করতে চায়। আপনাদের গবেষণা করতে হবে কীভাবে সমুদ্রের সম্পদ ব্যবহার করা সম্ভব, কাজে লাগানো সম্ভব। সবকিছুর মধ্যেই সম্পদ রয়েছে, আমাদের খুঁজে বের করতে হবে সম্পদের মাঝে থাকা সম্ভাবনাকে এবং সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অপার সম্ভবনাময় দেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ ভূমির সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকা পাওয়া সম্ভব হয়েছ। সুনীল অর্থনীতির জন্য বেসরকারি খাত ও পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক অর্থায়ন সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে সফল করার মাধ্যমে আইডিয়াকে কাজে লাগাতে পারলে সরকারের অর্থায়নের উপর নির্ভরতা কমে আসবে এবং বেসরকারি খাতে অর্থায়নের সুযোগ বহুগুণে বাড়বে। বড় ধরণের অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র। বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রজেক্টের জন্য ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হলে বিএসইসি পরিবেশবান্ধব প্রজেক্টে অর্থায়নের সুযোগকে কাজে লাগাতে সব ধরণের সহযোগিতা করবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক দেশে সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে অন্যতম বাধা হিসেবে দেখা যায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা রয়েছে সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটানোর। সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন ও অর্থায়নে এই ক্ষেত্রটিতে প্রাইভেট সেক্টরের অন্তর্ভুক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং প্রাইভেট সেক্টরকে অন্তর্ভুক্তি না করতে পারলে শুধুমাত্র সরকারের উপর নির্ভর করে এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের ব্লু ইকোনমির উন্নয়নে প্রায় ২০ টি মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে। উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে সকল পক্ষগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন প্রয়োজন। বাংলাদেশে পলিসি ও আইনগত কার্যক্রম ইতোমধ্যে অনেকটা এগিয়েছে এবং বর্তমানে পলিসি অনুযায়ী বাস্তবায়ন প্রয়োজন। শুধু রপ্তানিকেন্দ্রিক না হয়ে দেশের ব্লু ইকোনমির উৎপাদনকে আরো নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব বন্ডের জন্য গাইডলাইনগুলো তৈরিতে বিএসইসি আইএফসির সাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সেমিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ ‘বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা এবং সুনীল অর্থনীতি উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা প্রদান করেন। তিনি প্রেজেন্টেশনে সুনীল অর্থনীতি, বিভিন্ন অর্থনীতিতে ব্লু-ইকোনমির অবদান, সুনীল অর্থনীতির বৈশ্বিক অবস্থা, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির অর্থনৈতিক মূল্য, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, বাংলাদেশে উপকূল এলাকা ও সুনীল অর্থনীতি নিয়ে সরকারের গৃহীত জাতীয় পরিকল্পনা ও সুনীল অর্থনীতির কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম ও পদক্ষেপ, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সুনীল অর্থনীতি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এ সুনীল অর্থনীতি পরিকল্পনা ইত্যাদি উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে ‘ব্লু ইকোনমি: ফান্ডিং প্রসপেকটস অব ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুনীল অর্থনীতির নানাদিক তুলে ধরেন। বিশ্বজুড়ে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্র এবং বাংলাদেশে তার সম্ভাবনাসমূহ তথ্য-উপাত্তসহকারে উপস্থাপন করেন তিনি। তিনি দেশের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কীভাবে দেশের পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করা সম্ভব তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

যানজট নিরসনে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান


নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে ফুটপাত দখল উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ খাইরুল আলমের নির্দেশনায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের মুদাফরগঞ্জ বাজারে এ অভিযান পরিচালিত হয়।  লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোরশেদ আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে অভিযানে মুদাফরগঞ্জ বাজারে বেদখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধার, বাজারের যানজট নিরসনে রাস্তার দুপাশে অবৈধভাবে রাখা মালামাল, ভাসমান দোকানপাটসহ হকারদের ভ্যান-ট্রলি অপসারণ কর হয়।  উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তফা কামালসহ লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে থানার একটি টিম অভিযানে অংশ নেন।  এদিকে, পুলিশের অভিযানে বাজারটি যানজট মুক্ত হওয়ায় স্থানীয় জনগণ স্বস্তি প্রকাশ করেন।  লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া জানান, হাইওয়ে পুলিশের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের মুদাফরগঞ্জ বাজারে যানজট নিরসনকল্পে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ খাইরুল আলম জানান, যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিওনের ২২টি থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।

এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ আজ


 চলতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ (রোববার)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সৌদি আরামকো ঘোষিত ফেব্রুয়ারি ২০২৪ মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা রোববার দুপুর আড়াইটায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি টানা ৬ষ্ঠ মাসের মতো ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়ায় বিইআরসি। জানুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।


তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৪০ শতাংশ


 দেশে গত দেড় বছরে বিদেশি মুদ্রার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাতে রিজার্ভের পরিমাণ কমছে প্রতিনিয়ত। ডলার-সংকটের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এই খাতেও পড়েছে নেতিবাচক আঁচ। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নিট এফডিআই অস্বাভাবিক হারে কমেছে। বিদায়ী ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে নিট এফডিআই এসেছে ৬৭০ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের একই সময়ে এসেছিল ১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এসব বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে বস্ত্র খাতে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বস্ত্র খাতে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১৫৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাজ্য। এই সময়ে দেশটির বিনিয়োগ ৪৭ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার। এরপরই অবস্থান দক্ষিণ কোরিয়ার। দেশটির বিনিয়োগ ৪২ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়া শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও শ্রীলঙ্কা। এই খাতে দেশগুলোর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৬২ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার।

বিনিয়োগে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খাত ব্যাংকিং। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই খাতে বিনিয়োগ এসেছে ১০৯ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার। খাতটিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটির বিনিয়োগের পরিমাণ ৮৪ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে শ্রীলঙ্কা বিনিয়োগ করেছে ১০ দশমিক ১২ মিলিয়ন। যুক্তরাষ্ট্র এই খাতে ৯ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে বর্তমানে মোট বিনিয়োগ রয়েছে ৩৬৪ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশের গ্যাস ও জ্বালানি খাত। তিন মাসে এই খাতে বিনিয়োগ এসেছে ৭৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার। এই বিনিয়োগের ৬৫ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলারই বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তা-ই নয়, জুলাই-সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের সিংহ ভাগই গ্যাস ও জ্বালানি খাতে। এ ছাড়া এই খাতে বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস ও জাপান। এই খাতে মোট বিদেশি বিনিয়োগ ৩২৫ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগ আসার দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে খাত টেলিযোগাযোগ। এই খাতে বিনিয়োগ এসেছে ৬৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে নরওয়ে। দেশটি বিনিয়োগ করেছে ৩৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এই খাতে বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডস। বর্তমানে এই খাতে মোট বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৩৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাতে সবচেয়ে বেশি নিট বিনিয়োগ রয়েছে যুক্তরাজ্যের। দেশটির বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.