Header Ads

Header ADS

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে আগামীকাল


 ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। ওই দিন বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে একাদশ সংসদের মতোই এবারেও বিরোধী দল হিসেবে থাকছে জাতীয় পার্টি। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগে থাকলেও বিরোধী ভূমিকায় দেখা যাবে নির্বাচিত ৬২ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ গতবারের মতো এবারও স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার পদে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করেছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এরপর নতুন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন সদস্যরা।

এবারই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলের থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের সংখ্যা ছয় গুণ বেশি। সরকার প্রধান বলছেন, জাতীয় পার্টির পাশাপাশি সংসদে বিরোধী ভূমিকায় থেকে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার সবচেয়ে বেশি সুযোগ রয়েছে স্বতন্ত্র এমপিদের।

জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে স্বতন্ত্রদের অবস্থান সরকারি দলে, নাকি বিরোধী দলে হবে, বৈঠকে তা নির্ধারণ করা হয়।

ওই বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রদের ওই নির্দেশনা দেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্ররা সংরক্ষিত নারী আসনের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দেন।সংসদে আসন বণ্টন যেভাবে হবে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মতো সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম সারির প্রথম আসনে বসবেন। পরের আসনে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। তার পরের আসনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে।

এছাড়া প্রথম সারিতে আসন পেয়েছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। সংসদ নেতার পেছনের সারির প্রথম আসনে সরকারী দলের চিফ হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী বসবেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রথম সারিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার পাশের আসনটি জাপার রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তারপরের তিনটি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বতন্ত্র এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে।

এদিকে অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শিগগিরই ডলারের সমস্যার সমাধান হবে: সালমান এফ রহমান

 


শিগগিরই ডলারের সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দুটো জিনিস চাপ কমাতে সহযোগিতা করতে পারে, একটি হলো— রেমিটেন্স বাড়াতে হবে এবং আরেকটি হচ্ছে রপ্তানি বাড়াতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তারপরও ডলারের ওপর চাপ থাকছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমান এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।

২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজার নারী-শিশু

 


গত বছর সারাদেশে ৬ হাজার ৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা গেটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৫২৪ জন। নিহতের মধ্যে ৯৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ১ হাজার ১২৮ জন। আর আহত হয়েছেন অন্তত আরো ১১ হাজার ৪০৭ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘দেশের যানবাহন ও সড়ক—দুটির কোনোটিই শিশুবান্ধব নয়। অনেক স্থানে বাড়ি, স্কুলের একদম ধারেই সড়ক দেখা যায়। সড়ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে মেনে এসব তৈরি হয় না। আবার অনেক স্থানে স্কুলের পাশে কোনো সড়ক প্রতিবন্ধকতা বা ওভারপাস থাকে না। তাই এক অপূরণীয় ক্ষতি আমাদের হচ্ছে দিনের পর দিন।’

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৯১১টি। এতে ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়, আহত হয় ১১ হাজার ৪০৭ জন। মোট নিহতের ১৭ শতাংশের বেশি শিশু। গত বছর দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা এর আগের (২০২২) বছরের চেয়ে বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি শিশু মারা গেছে যাত্রী বা পণ্যবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কারের ধাক্কায়। এরপর আঞ্চলিক বা গ্রামীণ সড়কের যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৬ শতাংশ শিশুর প্রাণ গেছে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায়। স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন, ভটভটি বা মাহিন্দ্র কেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ শিশুর প্রাণ।

এদিকে বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য ২২ হাজার কিলোমিটারের বেশি। গ্রামীণ সড়ক ৩ লাখ কিলোমিটারের বেশি। দুর্ঘটনায় শিশু নিহত হওয়া সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এরপরই আছে মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শহরের সড়ক।

রোড সেফটির বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রামীণ সড়কে আগের বছরের (২০২২) চেয়ে গত বছরে শিশুমৃত্যু কমেছে। কিন্তু বেড়েছে আঞ্চলিক সড়কে। যেসব দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিশুদের মৃত্যু হয়, এর এক-তৃতীয়াংশের বেশি ঘটে দুপুরের দিকে। তবে সকাল ও বিকেলের দিকেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ শতাংশেরই বয়স ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এরপরই আছে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু। নিহত শিশুদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ এই বয়সী।

দুর্ঘটনায় শিশু নিহত হওয়া সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৭ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এরপরই আছে মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শহরের সড়ক।

এছাড়া প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহতের মধ্যে ৯৭৪ জন নারী ও শিশু রয়েছে ১ হাজার ১২৮ জন। মোট ২ হাজার ৫৩২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৪৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট নিহতের ৩৮.১২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৬.৬৩ শতাংশ।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৫২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২.২৫ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪২ জন, অর্থাৎ ১৪.৪৩ শতাংশ।

এই সময়ে ১০৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন নিহত, ৭২ জন আহত এবং ৪৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৮৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১৮ জন নিহত এবং ২৯৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাস যাত্রী ২৭৪ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর ট্রলি-লরি আরোহী ৩৮৪ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ যাত্রী ২২৯ জন, তিন চাকার যানের যাত্রী ১ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২ হাজার ৩৭৩টি জাতীয় মহাসড়কে, ২ হাজার ৮৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৯৪ টি গ্রামীণ সড়কে, ৫৮৩ টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৪ টি সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৯১টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩ হাজার ১৪৯টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১ হাজার ৪৪৬টি পথচারীকে চাপা/ধাকা দেয়া, ৮১৭টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২০৮ টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৬৬টি। এর মধ্যে বাস ১ হাজার ৫০৩, ট্রাক ১ হাজার ৮০৬, কাভার্ডভ্যান ২৮৩, পিকআপ ৪৩২, ট্রলি ১৭৮ ও লরি ১১৪টি অন্যতম। দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরে ৩২১টি, সকালে ১ হাজার ৯৪৬টি দুপুরে ১ হাজার ৫৭১টি, বিকেলে ১ হাজার ১১৩টি, সন্ধ্যায় ৬১৮টি এবং রাতে ১ হাজার ৩৪২টিদুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১ হাজার ৯৬৭টি দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৬৯৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩৪৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮৮ জন নিহত হয়েছে। রাজধানীতে ২৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৩ জন নিহত এবং ৩৩৬ জন আহত হয়েছেন।

বিদ্যুতের দেনা শোধ করতে বিশেষ বন্ড ছাড়বে অর্থ মন্ত্রণালয়


 বিদ্যুতের দেনা পরিশোধ করতে বিশেষ বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের মোট ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার বহুপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে সারের ভর্তুকি মেটাতে বিশেষ বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিল সরকার।

সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। সে কারণে কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিল না। এতে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল।

এ অবস্থায় পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এ বন্ডের সুদহারও বাড়বে, রেপোর সুদ কমলে বিশেষ বন্ডের

সুদও কমবে।

জানা গেছে, বন্ড ছাড়ার ফলে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক এখন আর দেনাদারদের কাছে টাকা চাইতে পারবে না। বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর। মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ড ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি হলেও বিশেষ বন্ডের মেয়াদ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছর।

বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে, সেগুলো হচ্ছে সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন, অ্যাক্রন পাওয়ারের বিপরীতে। ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে বিদ্যুতের দায় মেটাতে বিশেষ বন্ড ছাড়ার চুক্তি হবে বলে অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়। পরের দফায় চুক্তি হতে পারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে।

জানা গেছে, সরকারের কাছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) বকেয়া ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে বিশেষ বন্ড ছাড়া হচ্ছে ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো।

লাকসামে জেল-জরিমানা করলো ভ্রাম্যমান আদালত

 


 নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার লাকসামে ভ্রাম্যমান আদালতে হোটেল-বাসসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের জরিমানা ও এক মাদক কারবারিকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে লাকসাম বাইপাস এলাকায় অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগে স্বদেশ হোটেলকে ৩০ হাজার টাকা, যানজট সৃষ্টির অভিযোগে উপকূল বাসকে ১০ হাজার টাকা এবং ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ২ হাজার ৫শ টাকাসহ ৪২ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেন।

একইদিন সকালে মামুন (২৪) নামে এক মাদক কারবারিকে একমাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পৌরসভার মধ্য শ্রীপুর এলাকা থেকে গাঁজাসহ ঐ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক তমাল। এর আগে লাইসেন্স না থাকায় ইউনিটি ট্রমা হসপিটালের ৫০ হাজার টাকা ও ডাঃ এ বি সিদ্দিকের ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান রহমান।

বাণিজ্যমেলার মূল উদ্দেশ্য গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরতা কমানো: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

 


বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, তিনি রপ্তানি বহুমুখী করে বাণিজ্য বাড়াতে চান। ঢাকা বাণিজ্যমেলার মূল উদ্দেশ্য গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিকে বহুমুখী করা বলেও জানান তিনি।

শনিবার বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মেলার মূল উদ্দেশ্য গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিকে কিভাবে বহুমুখী করা যায়। চেষ্টা করব লোকাল যে শিল্প আছে সেগুলোকে আরও উৎসাহিত করতে। আমাদের রপ্তানি ৬ গুন বেড়েছে।

আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, আমরা বেশি উৎসাহিত করে বিদেশিদের আনি না। কারণ মাসব্যাপী তারা অনেকে আসতে চান না। তবে আমাদের লোকাল ইন্ড্রাস্ট্রিগুলোকে পরিচিত করাটাই অন্যতম লক্ষ্য। ভোক্তা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেবো মেলায় আগত দর্শনার্থীরা যেন প্রতারিত না হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের লোকজন আছে, তাদের অনেকে আসে। এবার আমরা তাদের একসঙ্গে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেবো।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত দুই বছর রাস্তার কিছুটা সমস্যা ছিলো। এবার রাস্তা অনেক ভালো, ফলে অনেক দর্শনার্থী আসবে বলে আশা করছি। চেষ্টা করেছি একটি ভালো মেলা আয়োজনের জন্য। প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি মেলার আয়োজন করলেও এবার নির্বাচনের কারণে কিছুটা পিছিয়েছে। এ মেলাটি মানুষের জন্য বার্ষিক একটা ঐতিহ্যবাহী মেলায় পরিণত হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার বিষয় থাকে। সেজন্য ৫০ জনের আউটসোর্সিং করে নিরাপত্তার জন্য লোকবল নিয়োগ দিয়েছি। এছাড়াও পুলিশ-আনসার থাকবে। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র্যাব কাজ করবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১০০ জন ক্লিনার নিয়োগ করা হয়েছে। যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের বাস থাকবে। এবার ফার্মগেইট থেকেও বাসে উঠা যাবে। ফলে খুব অল্প সময় মেলা কেন্দ্রে আসা যাবে।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।

জানা গেছে, দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।

জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতে হবে


 নিজস্ব প্রতিবেদক: কোন জনপ্রতিনিধি মানুষের প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিশেষ করে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কারও প্রতি জুলুম করবেন না। জনপ্রতিনিধিদের অধিকতর ক্ষমতাবান এবং অধিকতর জবাবদিহিতারও আওতায় আনা হবে। যে কোন মূল্যে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে মত দিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে পোমগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম কথাগুলো বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকার ফলে মানুষের সমস্যাগুলো তারা সবচেয়ে ভালোভাবে জানার সুযোগ পান। সেই সমস্যা সমাধানে তারা আন্তরিক হলে অনেক উন্নয়ন  স্থানীয় পর্যায়েই সম্ভব। তাই সরকারের এই শাসনামলে জনপ্রতিনিধিদের অধিকতর ক্ষমতায়ন করে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। তবে সেই সাথে অনিয়ম করলে জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য একটি রূপরেখা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রনয়ণ করা আছে। সে রূপরেখাকে গুরুত্ব দিয়ে আমার এলাকাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ এর রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ অসংখ্য অবকাঠামগত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার ফলে। ভবিষ্যতেও লাকসাম মনোহরগঞ্জবাসির আকাঙ্ক্ষা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে যেন পূরণ করতে পারেন সেই দোয়া চান তিনি।

মন্ত্রী লাকসাম-মনোহরগঞ্জের উন্নয়নে কোথায় ঘাটতি রয়েছে তা চিহ্নিত করে সবার সাথে আলোচনা করে প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান। এ আসনের মানুষ যাতে সুশাসন ও ন্যায়বিচার পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী করেছেন। টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মত বৃহৎ মন্ত্রণালয়ের  দায়িত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা রেখেছেন তা যেন অক্ষুন্ন রাখতে পারেন সেজন্য এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।

তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রথম যেদিন আমাকে এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ঐ দিন আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল, আমার চোখের পানি পড়েছিল। প্রথম এমপি হওয়ার পর আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করেছিলাম, যে লোকগুলো আমাকে ভোট দিয়েছে, যারা আমার জন্য কাজ করেছে, আমি যাদের এমপি হয়েছি; তাদের ভাগ্যোন্নয়নে যেন আমি কাজ করতে পারি। সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের পরিচালনায় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত মোঃ তাজুল ইসলাম দ্বিতীয় বারের মতো স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মনোনীত হওয়ায় সভায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

অর্থ পাচার রোধে কাজ করা হবে: অর্থমন্ত্রী


 অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আছে তা সমাধান করতে হবে। রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রথম দিন সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সময় দিতে হবে। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থমন্ত্রণালয় একা পারবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সন্ময়ক করে কাজ করবো। রাতারাতি সব কিছু ঠিক করা যাবে না।

তিনি বলেন, অর্থ পাচার রোধে কাজ করা হবে। টাকার মূল্য কমে গেছে। সেটা নিয়েও কাজ করা হবে। এ বিষয়ে দেখি কি করা যায়! অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আছে। একটু সময় দিন।

ডিসেম্বরে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি

 


গত ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় সামান্য কমেছে। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। একসঙ্গে ডিসেম্বরে গ্রাম-শহরনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে, তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। নভেম্বরে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গত অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত প্রায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৩ ও ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সে হিসাবে ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। তবে এখনো তা সাড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছিই রয়েছে। ডিসেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, আর শহরে এটি ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাওয়ার অর্থ গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি সামান্য কমেছে। তবে বাজারে শীতের শাকসবজিসহ চাল, আটা, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আলুসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনো বাড়তি।

পুরো বিষয়টি একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। যেমন আপনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১০০ টাকায় যত জিনিসপত্র কিনেছেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওই টাকা দিয়ে সেই জিনিসপত্র পাবেন না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনাকে ১০৯ টাকা ৪১ পয়সা খরচ করতে হবে। এই ৯ টাকা ৪১ পয়সা হলো মূল্যস্ফীতি। গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল এটাই।

বিবিএসের হিসাবে সবশেষ ডিসেম্বরে শহর-গ্রামনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তার বিপরীতে শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি।

অন্যদিকে গত মাসে দেশে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। ডিসেম্বরে শহর-গ্রামনির্বিশেষে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ; যা নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ডিসেম্বরে শহর ও গ্রামে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান ছিল। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি গ্রামে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ ও শহরে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে।

৭ প্রার্থীর ৬ জনই জামানত হারালেন কুমিল্লা-৯ আসনে

 


নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদের ২৫৭, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ আসনে ৫ম বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

এ আসনে লাকসামের ৬৬টি ও মনোহরগঞ্জের ৬০টিসহ দু'উপজেলার ১২৬টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ২,৩৩,৯৪৬ ভোট পেয়ে ৫ম বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৪৩,৫৪৮ জন। প্রাপ্ত ভোট ২,৬২,৪৬৫টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৫,৯২২টি, বৈধ ভোট ২,৫৬,৫৪৩টি। প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৯.২৪%।

অপরদিকে, প্রাপ্ত ভোটের ৫% ভোটও না পেয়ে জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মীর মোঃ আবু বকর সিদ্দিক। তিনি চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৮,২৬০ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬,১৫৯ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোঃ জমির উদ্দিন গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৩,১৪৬ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জালালী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২,৮২৭ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল আনোয়ার মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১,৫৭৫ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মোঃ হাছান মিয়া নোঙ্গর প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩০ ভোট।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

লাকসামের ২ কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ


 নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের দুটি ভোট কেন্দ্রের অদূরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা ও সোয়া দশটার দিকে লাকসামের দুটি কেন্দ্রে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

উপজেলার বাকই ইউনিয়নের কৈত্রা হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, রাত ১০টার দিকে  কেন্দ্রের অদূরে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। 

অপরদিকে, একই ইউনিয়নের বাকই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআই আব্দুল লতিফ জানান, রাত সোয়া ১০টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে ঈদগাহের পাশে রাস্তায় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দিন খান বলেন, আমাদের অফিসাররা সেখানে কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ২৫৭ নং এ আসনে দুটি উপজেলার মধ্যে লাকসামে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ২২৮৭৪০ জন, পুরুষ ১১৭৪৫৬, মহিলা ১১১২৮০ জন, ভোট কেন্দ্র ৬৬টি, ভোট কক্ষ ৪২২টি এবং মনোহরগঞ্জে ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৯১৯৭১ জন, পুরুষ ৯৯৯৮৫ ও মহিলা ৯১৯৮৬ জন, ভোট কেন্দ্র ৬০টি, ভোট কক্ষ ৩৮৬টি ।

৫ম বারের মত বিজয়ী হলেন তাজুল ইসলাম


 নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদের ২৫৭, কুমিল্লা-৯ আসনে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের ১২৬টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২,৩৩,৯৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত মীর মোঃ আবু বকর সিদ্দিক চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন ৮,২৬০ ভোট।

অপরদিকে, জাতীয় পার্টির প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৬,১৫৯ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোঃ জমির উদ্দিন গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৩,১৪৬ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জালালী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২,৮২৭ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল আনোয়ার মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ১,৫৭৫ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মোঃ হাছান মিয়া নোঙ্গর প্রতীকে পেয়েছেন ৬৩০ ভোট। 

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪,৪৩,৫৪৮ জন। প্রাপ্ত ভোট ২,৬২,৪৬৫টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৫,৯২২টি। মোট বৈধ ভোট ২,৫৬,৫৪৩টি। প্রাপ্ত ভোটের হার ৫৯.২৪%।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়ে ৮ লাখ কোটি টাকা

 


দেশের আর্থিক খাতের অভ্যন্তরীণ উৎস তথা ব্যাংক, বিল-বন্ড, সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নেওয়া পুঞ্জীভূত ঋণ ৮ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গেল এক বছরেই এই ঋণ বেড়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। তাতে গত অক্টোবর শেষে এই ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯ হাজার ৯১৮ কোটি টাকায়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এই প্রতিবেদনে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবরে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎসের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের একই মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানেই তা এক লাখ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।

তবে আলোচ্য সময়ে সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণ বাড়লেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে অবশ্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ কমেছে।

প্রতিবেদনমতে, গত জুলাই-অক্টোবরে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎসের প্রকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ ২২ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা কমেছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর থেকে বিল-বন্ডের মাধ্যমে সরকারের ধারের পরিমাণ বেড়েছে। গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদি বিল বন্ডের মাধ্যমে সরকার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা তুলেছে। কিন্তু গতকাল যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি জুলাই-অক্টোবর সময়কালের।

এদিকে গত অক্টোবরের শেষে ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা। আর ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-অক্টোবরে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য তফসিলি ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ নেওয়ার বদলে ৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা পুরোনো ঋণ পরিশোধ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকে সরকারের প্রকৃত ঋণ ছিল ২২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। গত জুলাই-অক্টোবরে সরকার ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ না নিলেও ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ খাত থেকে সরকারের প্রকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা।

সরকার সঞ্চয়পত্র, বিল ও বন্ড বিক্রি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া সরাসরি ঋণই হলো ব্যাংক খাতের ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত চার মাসে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকার মোট ৮ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা ঋণ করেছে। এর মধ্যে সরকার সঞ্চয়পত্রের আসল বাবদ ২ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। ফলে ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকারের প্রকৃত ঋণ কমে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকায় নেমেছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যাংক থেকে সরাসরি অর্থ ধার কমলেও বিদায়ী ২০২৩ সালের শেষ দুই মাসে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে সরকারের ধারের পরিমাণ বেড়েছে।

বিদায়ী বছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। তাই অর্থনীতিবিদেরা ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বন্ধের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বাড়লে তা পরোক্ষভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.